সিংড়া (নাটোর) সংবাদদাতা : নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলার হস্তক্ষেপে দীর্ঘ ১২বছর পর উদ্ধার হয়েছে ছোট চৌগ্রাম খাল। সম্প্রতি স্থানীয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসীদের নিয়ে খালটি অবমুক্ত করা হয়েছে। তবে খালটি পুরোপুরি সচল করতে দখলমুক্ত এবং আরো দুটি মুখ অবমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, বাপ দাদাদের আমল থেকে ছোট চৌগ্রাম এই খাল দিয়ে নৌকা চলাচল করতো,নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা হত। তখন জলাবদ্ধতা ছিলোনা, কৃষকেরা সেচ সুবিধা পেত। কিন্তু এলাকার প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে কতিপয় ব্যক্তিরা দলিল তৈরি করে খালে বাঁধ দিয়ে খালটি পুকুরে রুপান্তর করে। গ্রামের জলাধারের তিন দিক দিয়ে ১০/১২ টি কৃত্রিম পুকুর তৈরি করায় খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে এলাকায় কৃষকদের জমি জলাবদ্ধতায় শিকার হয়।
সম্প্রতি স্থানীয় জনগন বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপিকে অবহত করলে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে খালটি অবমুক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্দ্বীপ কুমার সরকার ও স্থানীয় চৌগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলাকে নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে খাল অবমুক্ত করার জন্য দখলদারদের জানান। কিন্তু নিজ উদ্যোগে কেউ দখল ছাড়তে রাজি না। পরে ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা স্থানীয় জনসাধারণকে সাথে নিয়ে খালের মুখ অবমুক্ত করেন।
এদিকে খালের অপর দুই মুখ ছোট চৌগ্রাম বাজার সংলগ্ন ব্রীজের পাশে খালের মুখ বন্ধ করে বাবু চন্ডালের পুকুর খনন ও মধ্য পাড়ায় খালের মুখ বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধের জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয়রা। খালের অপর মুখগুলো অবমুক্ত সহ খাল সচল করার দাবি জানিয়েছে তারা।
চৌগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা জানান, দীর্ঘদিন থেকে খালটি অবমুক্তকরণের জন্য ভুক্তভোগী এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে আসছিল। খালটি অবমুক্ত করায় এলাকাবাসী অত্যন্ত খুশি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্দ্বীপ কুমার সরকার জানান, মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক খালটি অবমুক্তকরণের জন্য স্থানীয়দের বলা হয়েছিল।