প্রেমের টানে আমেরিকান নারী ফরিদপুরে

উত্তরাঞ্চল ডেস্ক : প্রেমের টানে সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের ফরিদপুরে এসেছেন মার্কিন নাগরিক শ্যারুন খান (৪০)। শুধু তাই নয়, এ দেশে এসে গত ১০ এপ্রিল মো. আশরাফ উদ্দিন সিংকু (২৬) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে বিয়েও করেন তিনি।

ফরিদপুরের সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মার্কিন নাগরিক শ্যারুন খান পেশায় ব্যাংকার এবং আশরাফ উদ্দিন সিংকু ঢাকার কবি নজরুল কলেজে ইংরেজিতে পড়াশোনা করছেন। মাস্টার্স শেষ বর্ষে এ শিক্ষার্থী পরিবারের সন্তানদের মধ্যে সবার বড়। তার আরও দুই বোন রয়েছে।

সিংকুর বাবা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গাড়িচালক। তিনি ঢাকায় বসবাস করছেন। তবে তার পরিবারের সদস্যরা ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন।

আমেরিকানকন্যাকে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বইছে আনন্দের বন্যা। দলবেঁধে সিংকুর বিদেশি বউ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা।

এদিকে শ্যারুন ভাঙা ভাঙা বাংলায় কথা বলে নিজের মনোভাব প্রকাশ করছেন। এভাবে তিনি এলাকার সবাইকে আপন করে নিয়েছেন।

সিংকু জানান, ৬ মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যাংকার শ্যারুনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কথা বলার একপর্যায়ে ওই নারী সিংকুকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ৬ এপ্রিল শ্যারুন বাংলাদেশে আসেন। গত ১০ এপ্রিল ঢাকায় মুসলিম রীতিতে তাদের বিয়ে হয়। ধর্মে দুজন একই হওয়ায় বিয়েতে কোনো জটিলতা হয়নি।

সিংকু আরও বলেন, আমাদের দুজনের বয়সের ব্যবধান থাকলেও আমরা খুবই খুশি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

আমেরিকান শ্যারুন খান বলেন, বাংলাদেশে এসে আমি খুব খুশি। এ ছাড়া আমার স্বামী ও তার পরিবারের সবাই আমাকে ভালোবাসে। এ দেশের মানুষ খুবই ভালো। আশা করছি; ২১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার পর দ্রুত আবার ফিরে আসব। আমি বাংলাদেশ, বাংলার মানুষের প্রেমে পড়েছি।

এদিকে বিদেশি বউ পেয়ে খুব খুশি সিংকুর মা নার্গিস আক্তার। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে দেশে বিয়ে দিলেও এত ভালো বউ হয়তো পেতাম না। আমি বউ পেয়ে খুব খুশি। নতুন বউ যখন আমাকে ‘আম্মু’ বলে ডাকে, তখন গর্ববোধ করি।