ডেস্ক নিউজ : অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ অনেক টাকার মালামাল লুট করেছে ডাকাতরা। পরে যাওয়ার সময় ভুলবশত ফেলে গেছে ডাকাতদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন।
ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার ধামরাইয়ে পুলিশ পরিচয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলামের বাড়িতে। ধামরাই থানা পুলিশ ওই মোবাইল ফোনটি ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করেছে।
বালিয়া বিদ্যুৎ অফিসে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি হওয়ার মাত্র ৫ দিনের মাথায় ফের বুধবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা গ্রামে পুলিশ পরিচয়ে এ ডাকাতি সংঘটিত হয় বলে নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী ওই আওয়ামী লীগ নেতার পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবার জানান, ব্যবসায়িক কাজে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম ঢাকা শহরে একটি বাসায় ছিলেন। রাত ১২টার দিকে ১০/১২ জনের সশস্ত্র এক ডাকাতদল নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়ির লোকজনদের ডাকাডাকি করে। বাড়ির লোকজন ভয়ে গেইট না খুললে তারা মেইন গেইটের তালা ভেঙে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে।
এরপর বাড়িতে থাকা নজরুল কোম্পানির মেজভাই মো. মোশারফ হোসেন ও ছোটভাই মো. মিন্টু মিয়াসহ বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে রেখে আলমিরা থেকে তিন ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে।
ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর তাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ওই দুই সহোদরের বাঁধন খুলে দিলে তারা মুক্ত হন। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ধামরাই থানায় এসে অজ্ঞাত পরিচয় ওই ডাকাতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. সেকেন্দার আলী বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতার ভাই মোশারফ হোসেন জানান, এরপর আমাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালামাল লুট করে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমি রাতে বাড়ি ছিলাম না। ব্যবসায়িক কাজে বাইরে ছিলাম। খবর পেয়ে বাড়ি এসে ঘটনা জেনে শুনে এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. সেকেন্দার আলী বলেন, এ ব্যাপারে অজ্ঞাত ডাকাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের ক্ষেত্রে এ মোবাইল ফোন খুবই কাজে আসবে।