সুলতানুল আরিফিন কাজল,বড়াইগ্রাম (নাটোর): করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) এর কারনে গোটা দেশ অবরুদ্ধ। দিনকে দিন পাল্লা দিয়ে বিশ্বের সাথে বাংলাদেশেও বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে।তবুও থেমে নেই দেশের মফস্বল সাংবাদিকরা। সারা দেশের ন্যায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে-ঘাটে সারাদিন ছুটে চলেছে সংবাদ সংগ্রহের জন্য।কিন্তু এই করোনা সংকটে তারা ভালো নেই।সংবাদকর্মীরা বর্তমানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করলেও পরিবার পরিজন নিয় আর্থিক অভাব-অনটনে দিন অতিবাহিত করছে অনেকেই।সংবাদকর্মীরা না পারছে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রান নিতে, না পারছে কারো কাছে কিছু চাইতে। নিম্ন ও বিত্তবানদের মধ্যখানে পড়ে যাতাকলে চিপসে যাচ্ছে তারা।এরপরেও মানুষের মাঝে দিন-রাত পৌছে সমস্ত খবরা-খবর।খোঁজ রাখছে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার,খোঁজ রাখছে কোথায় লকডাউন ব্যাহত হচ্ছে,কোথায় সন্ধান পাওয়া গেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর।
একদিকে কর্মহীন, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে সরকারসহ অন্যান্য ব্যাক্তি ও সংগঠনগুলো।ফলে এসকল সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বাড়ছে সাংবাদিকদের করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি।সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিনই সরকার,বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যাক্তি উদ্যোগে অসহায় ও দঃস্থদের মাঝে সহায়তা পৌছে দিচ্ছেন। আর সেই সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে যেতে হচ্ছে সংবাদকর্মীদের।
এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সংবাদকর্মীরা উপস্থিত থেকে ত্রান বন্টন কার্যক্রম তদারকি করছে। কিন্তু নেই তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা এতে করে সংবাদকর্মীরা রয়েছে জীবনের চরম ঝুঁকিতে।সংবাদকর্মী বান্ধব অনেকেরই বক্তব্য হচ্ছে যেভাবে সংবাদকর্মীরা সরেজমিনে গিয়ে কাজ করছে এটা অব্যহত থাকলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে তাদের।
তার পরেও বসে নেই বড়াইগ্রাম উপজেলাসহ সারা দেশের সাংবাদিকরা। সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে দিন অতিবাহিত করছে।তাদের কথা ভেবেই সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিক মহল।গভীররাতে খুন হলে ছুটে যায় সাংবাদিক,করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা মৃত্যুর খবরে ছুটে যায় সাংবাদিক, কোন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে,সংঘর্ষ হলে রাত-বিরাত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সবার আগে ছুটে যায় এই অবহেলিত সাংবাদিকরাই কিন্তু তাদের দেখার কেউ নেই।তাই স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান জানাই দয়া করে আপনারা এই অবহেলিত সংবাদকর্মীদের দিকে একটু নজর দিন।