uttarancholnews24

পাখির অভয়ারণ্য গড়তে চান বাগাতিপাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাপলা

ফজলে রাব্বি,বাগাতিপাড়া নাটোর প্রতিনিধিঃ গ্রামে আর সন্ধ্যা ঘনাতেই আগের মতো ঝাঁকে ঝাঁকে নীড়ে ফেরা পাখির দেখা মেলে না। নিত্য উষায় পাখির কুজনে ঘুম ভাঙে না, গ্রাম গাছে-গাছে কিচির-মিচিরও মিয়ম্রাণ হয়ে আসছে দিন দিন।
কি বুকের ছাতিফাঁটা গ্রীষ্ম, কি ঘোর বর্ষা, হাঁড় কাপানো শীত কিংবা বসন্ত, পাখির কলতানে আর মুখরিত হয় না গ্রাম। আবার কি করে গ্রামের প্রতিটি বাড়ির গাছে, বনে কি জঙ্গলে ফিরিয়ে আনা যায় দোয়েল, কোকিল, ফিঙে, চড়ুই, টিয়াসহ গ্রাম বাংলার সব পাখিকে।
এমন ভাবনা থেকেই নিজের গ্রামকে পাখির গ্রাম হিসাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিচ্ছেন বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খোদেজা বেগম শাপলা।

তার লক্ষ্য গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের বাহক নানা প্রকার বিলুপ্ত হতে যাওয়া পাখির জন্য নিরাপদ বাসস্থান তৈরির মাধ্যমে পাখির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি এবং গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা।
এমনই ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা গেছে বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের মেশ্রীপাড়া গ্রামে।

পাখিপ্রেমী খোদেজা বেগম শাপলা ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ গ্রামে ধীরে ধীরে গড়ে তুলতে চান পাখির অভয়াশ্রম।নিজের অর্থায়নে পাখিদের জন্য জন্য গাছে-গাছে করছেন পাখির ঘর-সংসার।
এজন্য গত কয়েক দিনে মোট ৫০টি গাছে মাটির কলস বেঁধে দিয়েছেন। দেশীয় পাখিগুলো যাতে ওই কলসে নিজ নিজ আশ্রয় খুঁজে নেয়।তিনি আরো মনে করেন এই কাজে বেশ সফলতা অর্জন করা সম্ভব।গ্রামের প্রতিটি রাস্তার ধারে, পুকুরের পাড়ে, জমির পাশে, বিভিন্ন বাড়ির গাছের ডালসহ গ্রামের আনাচে-কানাচের বিভিন্ন গাছের মগডালে কলস বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ফলে গাছে-গাছে আসতে শুরু করবে পাখিরা।
বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খোদেজা বেগম শাপলা জানান, পাখি প্রকৃতির অন্যতম সম্পদ। পাখিদের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করা না গেলে ধীরে ধীরে সব প্রজাতির পাখিই বিলুপ্ত হয়ে যাবে তাই আমি পাখিদের জন্য অভয়াশ্রম গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।

MYBET88 (MB8) | Online Casino Malaysia | Online Slot Game BP77 | Online Casino Malaysia | Online Slot Game